বিশ্রামহীন পায়ের সিন্ড্রোম (রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম) - Restless Legs Syndrome in Bengali

Dr. Ayush PandeyMBBS,PG Diploma

May 03, 2019

March 06, 2020

বিশ্রামহীন পায়ের সিন্ড্রোম
বিশ্রামহীন পায়ের সিন্ড্রোম

বিশ্রামহীন পায়ের সিন্ড্রোম (রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম) কি?

বিশ্রামহীন পায়ের সিন্ড্রোমটি স্নায়ু তন্ত্রের সাথে জড়িত অবস্থায় থাকে এবং ক্রমাগত পায়ের নড়াচড়ার ফলে এই ঘটনাটি ঘটে। এটির ফলে থাই, পায়ের ডিমেও বিরলভাবে, হাতে, বুকে একটি অস্বস্তিকর সংবেদনশীলতা বা ভর না দিতে পারা বা চাপের সৃষ্টি হয় যা সন্ধ্যের পর বা রাতে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।

এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি?

উপসর্গগুলি খুব অস্বস্তিকর যা প্রতিদিন বা কোন কোন দিন হালকা থেকে মাঝারি হতে পারে। এগুলি হল:  

  • পায়ে বেদনাদায়ক খিল ধরা, চুলকানো, প্রলম্বন, ভর দেওয়া, তীব্র যন্ত্রণা, জ্বালা বা ঢিপ ঢিপ করার মতো সংবেদনশীলতার সৃষ্টি (বিশেষত পায়ের ডিমে)।
  • মনে হয় যেন পায়ের রক্তবাহী নালিগুলি ঠাণ্ডা জল দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।
  • দীর্ঘ সময় বসে থাকা অসুবিধাজনক হয়ে ওঠে।
  • ঘুমের সময় প্রতি 20 থকে 40 সেকেন্ডে স্বল্পভাবে অঙ্গ প্রতঙ্গের নড়াচড়ার পুনরাবৃত্তি (পিএলএমএস), অপ্রত্যাশিত ঝাঁকুনি বা হালকা টান ধরা।
  • জেগে থাকা বা বিশ্রামের সময় হঠাৎ অনিচ্ছাকৃত ভাবে পায়ের নড়াচড়া।

এর প্রধান কারণ কি কি?

এটির প্রধান কারণ এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি তবে মনে করা হয় এটি বংশগত বা জিনগত কারনের সাথে জড়িত। এর সাথে জড়িত থাকতে পারে এমন কিছু কারণগুলি হল:

  • পেশীর কার্যকলাপ ও নড়াচড়ার নিয়ন্ত্রিত করার জন্য ডোপামিনের মাত্রা হ্রাস পাওয়া যা নিউরোট্রান্সমিটার নামে পরিচিত।
  • আয়রনের অভাবে অ্যানিমিয়া, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, ডায়াবেটিস বা গর্ভাবস্থার মতো অনন্তৰ্নিহিত কিছু স্বাস্থ্য পরিস্থিতি।
  • বিশেষত এর সাথে জড়িত নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ, ধূমপান, ক্যাফেইন, মদ্যপান, স্থুলতাদুশ্চিন্তা ও স্বল্প ব্যায়ামের অভ্যাস।

কিভাবে এটি নির্ণয় ও চিকিৎসা করা হয়?

উপসর্গের বিস্তারিত ইতিহাস, তাদের মনে হওয়া তীব্রতা, সময়ের সাথে তাদের উপস্থিতি, কিভাবে তারা স্বস্তি পাবে, অস্বস্তি বা দুশ্চিন্তাজনক উপসর্গগুলির কারণে ঘুমাতে সমস্যা ও অন্যান্য কারণগুলি থেকে এটি নির্ধারণ সম্পূর্ণ হয়। শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে এটি সঞ্চালিত হয়। এগুলি হল:

  • অ্যানিমিয়া, কিডনি সমস্যা ও ডাইয়াবেটিস আছে কিনা খুঁজে বের করতে রক্ত পরীক্ষা করা হয়।
  • বেছানায় শুয়ে শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গগুলি নাড়াচাড়া না করেও অনিচ্ছাকৃত নড়াচড়া পর্যবেক্ষণের জন্য ইমোবিলেসন পরীক্ষা যা ঘুমের পরীক্ষার সাথে জড়িত।
  • ঘুমানোর সময় মস্তিষ্ক তরঙ্গ ও হৃদস্পন্দন, ও নিশ্বাসের হার পর্যবেক্ষণের জন্য পলিসোনগ্রাফি করা হয়।

বিশ্রামহিন পায়ের সিন্ড্রোমের সাথে জড়িত ব্যবস্থাপনা গুলি হল:

  • মৃদু ক্ষেত্রে জীবনশৈলীর উন্নইয়নের সাথে জড়িত ব্যবস্থাপনা গুলি হল:
    • উপরে আলোচিত বিষয়গুলি এড়িয়ে চলা।
    • ভালো ঘুমানোর অভ্যাস করা।
    • নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করা।
  • পর্যায়ক্রমে জড়িত থাকা চিকিৎসাগুলি হল:
    • পায়ে ম্যাসেজ করা, ঠাণ্ডা বা গরম সেঁক দেওয়া বা গরম জলে স্নান করা।
    • মনকে এর থেকে দূরে সরাতে নিজেকে কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখা, যেমন বই পড়া
    • শিথিল বা প্রসারনে সহায়ক ব্যায়াম করা।
  • চিকিৎসার সাথে যে ওষুধগুলি ব্যবহার করা হয় সেগুলি হল:
    • ডোপামেন এগনিসটস, যার সাথে জড়িত রোপিনিরোলে,প্রেমিপেক্সলে বা রোটিগোটিনের মত চামড়ার দাগ।
    • ব্যথা কমানোয় সহায়ক ওষুধগুলির মধ্যে কোডিয়েন, গাবাপেন্টিন দেওয়া হয়।
    • টেমাজপাম ও লোপ্রাযোলেমের মতো ওষুধগুলি ঘুম সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত হয়।
  • এই অবস্থা যদি আয়রনের অভাবের কারণে হয়, তাহলে আয়রন সম্পুরকের দ্বারা সমাধান করা হয় ও গর্ভাবস্থার জন্য হলে, এটি নিজে থেকেই ভালো হয়ে যায়। 



তথ্যসূত্র

  1. National Health Service [Internet]. UK; Treatment.
  2. Restless Legs Syndrome Foundation, Inc. [Internet]. Austin, Texas; Symptoms & Diagnosis.
  3. National Institute of Neurological Disorders and Stroke [internet]. US Department of Health and Human Services; Restless Legs Syndrome Fact Sheet.
  4. National Sleep Foundation Restless Legs Syndrome. Washington, D.C., United States [Internet].
  5. National Organization for Rare Disorders [Internet]; Restless Legs Syndrome.

বিশ্রামহীন পায়ের সিন্ড্রোম (রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম) ৰ ডক্তৰ

বিশ্রামহীন পায়ের সিন্ড্রোম (রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম) জন্য ঔষধ

Medicines listed below are available for বিশ্রামহীন পায়ের সিন্ড্রোম (রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম). Please note that you should not take any medicines without doctor consultation. Taking any medicine without doctor's consultation can cause serious problems.